গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয় সেটি প্রত্যেক গর্ভবতি মহিলার জানা উচিত। কারণ, এই সময়ে অতিরিক্ত ঘুম বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই, গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় তা জেনে নিন।

ঘুমের অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এর অসুবিধাও রয়েছে। কম ঘুম যেমন খারাপ তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও বিপজ্জনক। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে এবং অতিরিক্ত ঘুমানো যাবে না। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় নারীদের নিয়ম মেনে ঘুমানো উচিত, না হয় অতিরিক্ত ঘুম শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। এছাড়া গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অতিরিক্ত ওজন বহন করতে হয়, যার ফলে বিশ্রাম ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। গর্ভাবস্থায় প্রচুর বিশ্রাম এবং ঘুম স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত ঘুম শিশুর ক্ষতি করে। আবার ঘুম ভালো না হলেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।

তাই একজন গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই জানতে হবে গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়?

Table of Contents

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে মৃতপ্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে, যে মহিলারা তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময় নিয়মিত একটানা 9 ঘন্টার বেশি ঘুমান তাদের সন্তানদের জন্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত ঘুম স্বাভাবিক প্রসব ও বিভিন্ন জটিলতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যায় এবং হরমোনগুলি অনিয়মিত হয় যার ফলে অতিরিক্ত ক্লান্তি লাগে এবং ঘুম হয়। কিন্তু আপনি যদি ঘুমাতে চান তাহলে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান, কারণ এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন। তবে একটানা ৮ থেকে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুম ভালো নয়, এতে মা ও শিশু উভয়েরই ক্ষতি হয়।

কারো বেশি ঘুমের প্রয়োজন হলে, সে চাইলে অল্প অল্প করে বেশি ঘুমাতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ; সকালে 1 ঘন্টা, বিকেলে 3 ঘন্টা, রাতে 4-6 ঘন্টা। তবে একটানা অনেক্ষন ঘুমালে সেটি করতে পারে। সেক্ষেত্রে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমানো ভালো।

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

এক নজরে জেনে নিন বেশি শুয়ে থাকলে যে যেসকল সমস্যা হতে পারে:

  • মৃত প্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • ওজন আরো বৃদ্ধি পায়।
  • শিশুর স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • পিঠের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে।
  • একটানা উপুড় বা চিৎ হয়ে শোয়ার কারণে গর্ভের শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
  • সন্তানের মাথা বড় হয়ে যাওয়া। (খুব কম দেখা যায়)
  • সন্তান নিচের দিকে নামতে না পারা। (খুব কম ঘটে)

অন্ততপক্ষে শেষের গর্ভাবস্থায় ৩ মাস ঘুমানোর সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে।

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেট ব্যথা হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় শোয়ার নিয়ম | গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম

গর্ভে সন্তান আসার ৩ মাস পর থেকে গর্ভাবস্থায় চিৎ ও উপুড় হয়ে শোয়া যাবে না। গর্ভাবস্থায় শোয়ার নিয়ম হল ডান ও বাম পাশ হয়ে। তবে বেশির ভাগই চিকিৎসকরা বাম পাশ হয়ে বেশি শোয়ার পরামর্শ দেন। গর্ভাবস্থায় চিৎ হয়ে শোয়ার ফলে জরায়ুতে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে মা ও সন্তানের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম এবং কি কি করলে ঘুম ভালো হবে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

চিৎ ও উপুড় হয়ে শোয়াকে না বলুন

গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা কখনো চিৎ ও উপুড় হয় ঘুমাতে পারবে না। গর্ভাবস্থায় চিৎ হয়ে ঘুমালে মৃতপ্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া, শিশুর হৃৎস্পন্দন ও নড়াচড়া কমে যায়। গর্ভবতী মা যখন চিৎ হয়ে ঘুমায় তখন শিশুর শরীরে রক্তপ্রবাহ কমে যায়।

গর্ভাবস্থায় অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও চিৎ হয়ে শোয়ার কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮২ হাজারের বেশি মৃত সন্তান জন্ম নেয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই মায়ের বয়স ১৮ বছর এর কাছাকছি বা এর চাইতে একটু বেশি।

যাইহোক, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের পর থেকে চিৎ হয়ে শোয়া বন্ধ করতে হবে।

ডান ও বাম পাশ হয়ে ঘুমানো

গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমানো ভালো। তবে একটানা যেকোন এক পাশ হয়ে শুয়ে থাকা যাবে না। তাই গর্ভাবস্থায় কিছুক্ষন বাম পাশে ও কিছুক্ষন ডান পাশ হয়ে শুতে হবে।

রাতে প্রতিবার ঘুম ভাঙার সাথে সাথে শোয়ার অবস্থান পরিবর্তন করুন। যদি বাম পাশে শোয়ে থাকেন তাহলে ডান পাশে ফিরুন।

আরামদায়ক অবস্থানে ঘুমান

গর্ভাবস্থায় আরামদায়ক অবস্থানে ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিৎ ও উপুড় ছাড়া আপনি আপনার মনের মতে আরামদায়ক অবস্থানে ঘুমাতে পারেন।

আরাম পাওয়ার জন্য আপনি চাইলে দুই হাঁটুর মাঝে ও পেটের নিচে একটি বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে ঘুমালে আপনি আরাম পাবেন। আরো আরামদায়ক অবস্থানের জন্য আপনি একটি কোলবালিশ ব্যবহার করতে পারেন।

দিনে কম ঘুমানো

আপনার যদি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় তাহলে দিনে ঘুমাবেন না। দিনে ঘুমালে রাতে ঘুম আসতে অনেক কষ্ট হয়। তাই যা ঘুমানোর সব রাতে ঘুমিয়ে নেওয়া উচিত। তাই, এখন থেকে দিনে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন।

গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো উচিত, যদি আপনার রাতে ঘুম না হয় তাহলে ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব দূর করার জন্য আপনি চাইলে দিনে কিছুক্ষণ ঘুমাতে পারেন। তবে সারাদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো উচিত না।

আপনার যদি রাতে একদম ঘুম না হয় তাহলে ঘুমকে ভাগ করে নিতে পারেন। যেমন; সকালে অল্প, বিকালে অল্প ও রাতে অল্প করে ঘুমান। সব মিলিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

আরো পড়ুন: পিরিয়ডের সময় কি কি খাওয়া যাবে না

প্রতিদিন একই নিয়মে ঘুমানোর অভ্যাস করুন

আপনি রাতে ঘুমান বা দিনের বেলা ঘুমান না কেন, প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। আপনার যখন ভালো ঘুম হয় সে সময়কে আপনার ঘুমের রুটিনে যুক্ত করতে পারেন।

আপনি রাতে কতক্ষণ ঘুমান, দিনে কতক্ষণ ঘুমাবেন তার একটি রুটিন তৈরি করুন এবং প্রতিদিন একইভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তবে কোনো কারণে আপনার রুটিন অনুযায়ী ঘুম না হলে প্রয়োজনে এই দিন কম ঘুমান।

পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য সে দিন অন্য কোনো সময় আর ঘুমাবেন না। এতে আপনার রুটিন অনুযায়ী জীবনযাপন করা খুব কঠিন হবে।

ঘুমানোর সময় সময় হিসাব করবেন না

সারাদিন আপনি কতক্ষণ ঘুমাবেন বা কখন ঘুমাবেন এগুলো নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন না। আপনি ঘুমের জন্য এমন একটা সময় নির্বাচন করুন, যে সময়টাতে আপনার ভালো ঘুম হয়।

প্রতিদিন সেই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এরপরেও, আপনার যদি মাঝে মাঝে ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলে চিন্তা করবেন না।

ঘুম না আসলে হালকা কাজ করুন বা হাঁটুন

গর্ভাবস্থায় সবসময় ঘুম ভালো হয় না। অনেক সময় অনেক মহিলাদের ঘুমের সমস্যা হয়। বিশেষ করে তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে থাকেন, এরপরেও ঘুম আসে না। এরকম হলে শুধু শুয়ে থাকলে হবে না।

যদি আপনার ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসে, তাহলে জোর করে ঘুমাতে যাবেন না। তখন ঘুম থেকে উঠে হালকা কাজ করুন অথবা হাঁটুন। এছাড়া, আপনি আপনার পছন্দের কাজ গুলো করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ; বই পড়া, রান্না করা ইত্যাদি।

তবে এই সময় মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশন ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না। এগুলো ছাড়া আপনি আপনার ঘর পরিষ্কার করতে পারবেন, পরিবারকে সময় দিতে পারবেন।

রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন

রাতে ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ৪০° সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রার পানি দিয়ে গোসল করুন, এতে আপনি আরাম পাবেন এবং আপনার ঘুম আসতে বাধ্য। আপনি চাইলে আজকে রাতে একবার চেষ্টা করতে পারেন।

৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমাবেন না

আপনি যদি গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমান অর্থাৎ একজন গর্ভবতী মহিলা যদি দিনে 9 ঘন্টার বেশি ঘুমায় তাহলে মা এবং শিশু উভয়ই ঝুঁকিতে থাকে। এমনকি শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া মায়ের শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই অনেক সমস্যা দেখা দেবে। তাই গর্ভাবস্থায় ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমাবেন না।

আরো পড়ুন: মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

ভালো ঘুমের জন্য গর্ভাবস্থায় যেভাবে ঘুমানো উচিত

  • রাতে ভালো ঘুম পাওয়ার জন্য দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
  • ঘুমানোর সময় আরামদায়ক বালিশ ব্যবহার করুন। হাঁটু ও পিঠে বালিশ ব্যবহার করুন।
  • ঘুমানোর আগে চা, কফি ও ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে খাবার শেষ করুন।
  • ঘুমানোর আগে দুধ পান করুন।
  • ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল, কম্পিউটার ও টেলিভিশন থেকে বিরত থাকুন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
  • প্রতিদিন একই নিয়মে ঘুমাবেন।
  • মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।

গর্ভাবস্থায় ঘুম না হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় ঘুম না হওয়ার কারণ সমূহ গুলো হলো:

  • শারীরিক, মানসিক ও হরমোনের পরিবর্তন।
  • ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  • পিঠে বা কোমরে ব্যথা করা।
  • ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।
  • স্তনে ব্যথা হওয়া।
  • বমি বমি ভাব।
  • পায়ে ব্যথা হওয়া।
  • নিঃশ্বাসের দুর্বলতা।
কিছু টিপস
  • গর্ভাবস্থায় ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমাবেন না।
  • দিনে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাবেন না।
  • চিৎ ও উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।
  • ঘুমানোর ৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসলে ঘুম থেকে উঠে হালকা কাজ করুন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে গরম পানি দিয়ে গোসল করুন, এতে আরাম পাওয়া যায়।
  • সঙ্গীর সাথে সময় কাটান। হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন করুন।

FAQ

গর্ভাবস্থার ঘুমের সমস্যা কখন থেকে শুরু হয়?

গর্ভধারণের পর থেকেই গর্ভাবস্থায় ঘুমের সমস্যা শুরু হতে পারে। তবে সাধারণত প্রথম ত্রৈমাসিকের পর থেকে ঘুমের সমস্যা বেশি হয়।

গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়?

গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে এটি নিরাপদ ও আরামদায়ক অবস্থান হতে পারে। এভাবে ঘুমালে মা ও শিশুর উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। চিকিৎসকরা বলে, চিৎ ও উপুড় হয়ে শোয়ার চাইতে বাম ও ডান পাশে শোয়া ভালো। আবার, একটানা ডান পাশে ঘুমানোর ফলে সাস্থের ক্ষতি হতে পারে, তাই ডান ও বাম পাশ হয়ে শুতে হবে।

গর্ভাবস্থায় দিনে ঘুমানো যাবে?

অবশ্যই দিনে ঘুমানো যাবে। যদি আপনার রাতে ভালো ঘুম না হয় তাহলে আপনি দিনে ঘুমাতে পারেন। কিন্তু রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলে দিনে না ঘুমানোই ভালো।

গর্ভাবস্থায় কম ঘুম কি ঝুঁকিপূর্ণ?

হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় কম ঘুম হলে সন্তানের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকতে পারে।

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুম আসার কারণ কি?

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের আচার আচরণ, শারীরিক, মানসিক ও হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার কারণে বেশি ঘুম আসে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় পেটের আকার বড় হওয়ার কারণে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় এবং সবসময় ক্লান্তি অনুভব হয় যার ফলে গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমানোর ইচ্ছা হয়।

গর্ভাবস্থায় কোন পাশে ঘুমাবে?

গর্ভাবস্থায় ডান ও পাশ উভয় দিকে ঘোমানো ভালো। চিৎ হয়ে শুলে এই সময় স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তবে ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় বাম দিকে ঘুমানোর পরামর্শ বেশি দেন। কারণ, বাম পাশ হয়ে শুলে রক্তসঞ্চালন সহজ হয় ও শরীরের চাপ কম পরে। যাইহোক, গর্ভাবস্থায় ডান ও বাম উভয় পাশ হয়ে ঘোমানো উচিত।

গর্ভাবস্থায় কিভাবে ব্যায়াম করতে হয়?

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করা উচিত। উদাহরণ স্বরূপ; হাঁটা, দৌড়ানো, দুই পা দূরে রেখে বা ফাঁক করে হালকা উঠা বসা করা।

শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমানো স্বাভাবিক, তাই বলে অতিরিক্ত ঘুম যাবেন সেটা হতে পারে না। আপনি যদি একটানা 9 ঘন্টার বেশি ঘুমান, তাহলে তা আপনার ক্ষতি করতে পারে। আপনার পাশাপাশি আপনার শিশুর স্বাস্থ্যেরও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই কষ্ট হলেও শেষ তিন মাস ঘুম কম যাওয়া উচিত। তাই, বলে আবার কম ঘুমানো উচিত না।

গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে একটানা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হয়। আপনি যদি এর চেয়ে কম ঘুমান তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত এবং আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমান তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত ঘুম কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানা উচিত। এই আর্টিকেলটা আপনার শেষ পর্যন্ত দেখা উচিত তাহলে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন, ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!