ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা ও ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানা উচিত। একটি অস্বাস্থ্যকর খাবার ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্য খারাপ করে দেই। এর ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু নিষিদ্ধ খাবার রয়েছে যা খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় কিছু নির্ধারিত খাবার রাখতে হয়।
ডায়াবেটিস খুব সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। বিশেষ করে যার বয়স যত বেশি তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা তত বেশি। কিন্তু, অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা ডায়াবেটিসকে কোন রোগ মনে করে না। ডায়াবেটিস হলে রোগীর খাদ্য তালিকা ও জীবনযাপনের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হয়। কিন্তু, আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে কিন্তু খাদ্য তালিকা ও জীবনযাপনের মধ্যে কোন পরিবর্তন নেই।
ডায়াবেটিস কখনো পুরোপুরি ভালো হয় না, তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কিন্তু, অনিয়মিত জীবনযাপন ও খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর না থাকার কারণে আজকে প্রতিটি ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। যাইহোক, আপনার ডায়াবেটিস থাকলে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নিন।
Table of Contents
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীকে যে খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলো হলো:
চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার: ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চিনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় সেই সাথে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেই। যেসব খাবারে চিনি বেশি থাকে সে সকল খাবারে সাধারণত প্রোটিন বা ফাইবারের অভাব থাকে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীদের আজ থেকেই অতিরিক্ত চিনি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। শুধু যে চিনি খাওয়া বন্ধ করলে হবে বিষয়টা এমন না। চিনি যুক্ত খাবার যেমন; চকলেট, মিষ্টি, ক্যান্ডি, বিস্কুট, কেক, ইত্যাদি খাবার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।
চর্বিযুক্ত / তেলভাজা খাবার: ডায়াবেটিস রোগীদের চর্বিযুক্ত / তেলভাজা খাবার খাবার কম খেতে হবে। এমনিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত না। তবে অল্প পরিমাণে তেল বা চর্বি খাওয়া উচিত। কারণ, চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। এক গ্রাম চর্বি থেকে প্রায় ৯ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। এক কথায় বললে চর্বিযুক্ত খাবারের ভালো ও খারাপ দিক উভয় রয়েছে। তবে ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার রোগীদের চর্বিযুক্ত খাবার একটু কম খাওয়া উচিত। এছাড়া এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে।
দুধের তৈরি খাবার: দুধ এবং দুধের তৈরি খাবার আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এরপরেও ডায়াবেটিস রোগীদের দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খাওয়ার আগে সচেতন থাকতে হয়। কারণ কিছু দুধের তৈরি খাবারে প্রচুর পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা চর্বি থাকে, ফলে এটি রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তবে কম চর্বি রয়েছে এমন দুধের তৈরি খাবার খেতে পারেন। যেমন; দইয়ে চর্বি কম থাকে তাই দই খেতে পারেন। একজন ডায়াবেটিস রোগী দিনে এক গ্লাস দুধ খেতে পারবে। দুধের গন্ধ ভালো না লাগলে দুধে অল্প পরিমাণে দারুচিনি দিলে গন্ধ অনেকটা ভালো লাগবে।
লবণ: ডায়াবেটিস রোগীর অন্যতম ঝুঁকির কারণ হলো লবন। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করার পর বলছেন, অতিরিক্ত লবন খাওয়ার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ বাড়ে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে আজকে থেকে লবন কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু, কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে বিট লবণ খেলে ডায়াবেটিস ও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্র্রন থাকে। তাই, চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী লবন খাওয়া উচিত।
শুকনো ফল: শুকনো ফলে চিনির পরিমান বেশি থাকে। যেমন; ৫০ গ্রাম শুকনো খেজুরে প্রায় ২৫ গ্রাম চিনি থাকে এবং ৪৩ গ্রাম কিশমিশে প্রায় ২৫ গ্রাম চিনি থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের শুকনো মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেই। তবে, শুকনো ফলে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায় এবং ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে। এরপরেও, ডায়াবেটিস কমানোর জন্য শুকনো ফল এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রক্রিয়াজাত মাংস: সাধারণত প্রক্রিয়াজাত মাংসে অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে যা তাজা মাংসে থাকে না। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। প্রক্রিয়াজাত মাংসে পুষ্টির পরিমাণ কমে থাকে এবং এটি ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
দুধ চা ও কফি: ডায়াবেটিস রোগীদের দুধ ও চিনি যুক্ত চা এবং কফি কম খাওয়া উচিত। খেলেও সারাদিনে ২ কাপের বেশি চা খাওয়া যাবে না। ডায়াবেটিস রোগীদের আয়ুর্বেদিক চা খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
কিসমিস: ডায়াবেটিস রোগীরা কিসমিস খেলে তাদের ডায়াবেটিস আরো বেড়ে যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত কিসমিস খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদেরও কিসমিস খাওয়া উচিত না। এছাড়া এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে এবং খাবার হজমে সমস্যা করে। যদিও কিসমিসের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। এরপরেও ডায়াবেটিস রোগীদের এটা এড়িয়ে চলা উচিত।
আরো পড়ুন: ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস হলে যে একেবারে সব ধরনের খাবার বাদ দিয়ে দিতে হবে বিষয়টি তেমন না। একজন ডায়াবেটিস রোগী বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু খাবার একটু কম বেশি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেমন; লবণ, চিনি এগুলো স্বাভাবিকের চাইতে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকবেই এটাই স্বাভাবিক।
ডায়াবেটিস রোগীদের আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো। ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকায় প্রতিদিন একই খাবার না রেখে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাল চালের ভাত, আটা, লাল আটার রুটি খাওয়া খুবই গুরুত্বপুর্ন। সর্বশেষ, ডায়াবেটিস রোগীদের একই নিয়মে সঠিক সময়ে খাবার খেতে হয়। যেমন; সকালের নাস্তা যদি সকাল ৮ টাই খাওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ঐ সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
এক নজরে দেখে নিন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা যা যা থাকতে হবে:
- কম চিনিযুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন: চালের রুটি, আটা, ভাত ইত্যাদি। এছাড়া আরো অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলোতে চিনি কম থাকে।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে। তবে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকায় বলা হয়েছিল দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খাওয়া যাবে না। এটা ছিল অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে। এছাড়া সেখানে বলা হয়েছিল দিনে ১ গ্লাস দুধ খাওয়া যাবে।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, শিম, ভাত, ময়দা ইত্যাদি।
- শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, আলু, পাউরুটি, লাল আটার রুটি, ইত্যাদি।
- তেল, মাখন, ঘি খেতে হবে। ডায়াবেটিস ব্যক্তিকে সবসময় ধীরে ধীরে খাদ্য খেতে হবে।
- কম তেল-মশলায় রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: কিসমিস খেলে কি ওজন বাড়ে
ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট
সকালের নাস্তা:
- সকাল ৬ টাই অর্ধেক চা চামচ মেথির গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
- সকাল ৭ টা থেকে ৮ টার মধ্যে ১ টি বা ২ টি গমের আটার রুটি, ১/২ বাটি সবজি বা ১ কাপ পাতা যুক্ত শাক, ১ টি মুরগি বা হাঁসের ডিম এবং ১ কাপ চর্বি ছাড়া দুধ অথবা চিনি ছাড়া ১ কাপ চা।
- সকাল ১০ টার পর একটি ফল বা হালকা নাস্তা।
দুপুরের খাবার: (১.৩০ থেকে ২ টা)
- প্রয়োজন মতো ভাত খাওয়া উচিত। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
- মাছ ও মাংস এর মধ্যে যেকোন একটি, শাক সবজি, ডাল। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
বিকালের নাস্তা: (৫টা থেকে ৭টার)
- স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য বিকালের নাস্তায় ফল রাখতে হবে। কম চিনি ও চর্বি যুক্ত খাবারের সাথে ফল কেটে খাওয়া যাবে।
- নানা ধরনের বাদাম (কাজু, আখরোট, আমন্ড ইত্যাদি)।
- স্বাস্থ্যকর সালাদ।
- কম চিনি যুক্ত চা ও বিস্কুট। এছাড়া, নানা ধরনের হালকা নাস্তা।
রাতের খাবার: (৯টা থেকে ১০টা)
- রুটি অথবা ভাত। ভাত খুব কম খেতে হবে। রুটি খেলে ২ টার বেশি খাওয়া উচিত না।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। (মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি)
- বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি।
- সিজনাল ফল।
অনেকে মনে করে রাতে ভাত না খেয়ে বেশি বেশি রুটি খেলে ভালো হবে। কিন্তু, অতিরিক্ত রুটি ভাতের চাইতে খারাপ। তাই রাতে খাবার একটু কম খেতে হবে। সকালে বেশি বেশি খাবার খেতে হবে। দুপুরে হালকা খাবার খেতে হবে। বিকালে পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল
ডায়াবেটিস রোগী যে সকল ফলমূল খেতে পারবে সেগুলো হলো:
- নাশপাতি
- বেরি জাতীয় ফল
- কমলা
- কামরাঙা
- পেঁপে
- আপেল
- পেয়ারা
বিশেষজ্ঞরা বলে, নাশপতি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া নাশপতি রক্তশূন্যতা ও হজমে উন্নতিতে সাহায্য করে। বেরি জাতীয় ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। কমলা লেবুতে থাকা ফ্লাভনলস ও ফেনোলিক অ্যাসিড এই দুটি উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কামরাঙা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভালো। এতে প্রচুর ফাইবার ও ভিটামিন সি রয়েছে। পেঁপেতে রয়েছে ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া হার্ট ও নার্ভের জন্য এটি ভালো। আপেল মিষ্টি জাতীয় খাবার হলেও যদি ডায়াবেটিস রোগী এটি পরিমাণ মতো খাই তাহলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুকি কমে যাবে। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: আশ জাতীয় খাবার কোনগুলো
ডায়াবেটিস হলে যে সকল ফল খাওয়া যাবে না সেগুলো হলো:
- কলা
- আম
- তরমুজ
- আঙ্গুর
- আনারস
- কাঁঠাল
কলাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের কলা খাওয়া উচিত না। কারণ, কার্বোহাইড্রেটরক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। একটি ১০০ গ্রাম আমে ১৪ গ্রাম চিনি থাকে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীদের আম এড়িয়ে চলতে হবে। সাধারণত তরমুজে ফাইবার এবং ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে এবং ১ কাপ তরমুজে প্রায় ১০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। ১০০ গ্রাম আঙ্গুরে প্রায় ২০ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আঙ্গুর এড়িয়ে চলা উচিত।
FAQ
ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে?
ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে কিসমিস খেতে পারে। কিন্তু অনেকে মনে করে ডায়াবেটিস রোগীরা কিসমিস খেতে পারে না। কিছু বিষেশজ্ঞ বলছেন পরিমাণ মতো কিসমিস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সীমিত পরিমাণ কিসমিস খাওয়া যাবে কিন্তু অতিরিক্ত কিসমিস খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে। কিন্তু আমরা এই আর্টিকেলে কিসমিস খেতে নিষেধ করেছি।
ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
ডায়াবেটিস হলে শুকনো ফল, চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার, লবণ, চর্বিযুক্ত / তেলেভাজা খাবার, কলা, আম, তরমুজ, আঙ্গুর, আনারস ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
ডায়াবেটিস হলে নুডলস খাওয়া যাবে কি?
ডায়াবেটিস হলে পরিমাণ মতো নুডলস খাওয়া যাবে। নুডলস হলো শর্করা জাতীয় খাবার । এছাড়া, এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে।
কীভাবে ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করব?
ডায়েট এবং ব্যায়াম এই দুটির মাধ্যমে ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা কোন ধরনের ঔষধ ছাড়াই শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।