ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ

ক্যান্সার কি, ক্যান্সার কিভাবে হয় ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ সম্পর্কে কি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

ক্যান্সার একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ হিসাবে পরিচিত। ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া রোগীর সংখ্যা খুবই কম। ক্যান্সার রোগীদের জন্য ৫ বছরের বেঁচে থাকার হার প্রায় ৬৭ শতাংশ। যদিও বর্তমানে এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের বেঁচে থাকার হার ৩ গুণ বেড়েছে, এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।

ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পরে না। ক্যান্সার রোগীরা যদি মারাত্মক পর্যায়ে আক্রান্ত হওয়ার আগেই সঠিক ও উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তাহলে সম্পূর্ণ নিরাময়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, মারাত্বক পর্যায়ে আক্রান্ত হলে এর থেকে বেঁচে ফিরে আসা অনেক কঠিন। এর মানে এই নয় যে ক্যান্সার রোগীরা বেঁচে থাকে না।

আমাদের সমাজে একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে ক্যান্সার মানেই মৃত্যু। বর্তমানে এই ধারণা ভুল। ক্যান্সার রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিরাময় করা যায়। তাই এই আর্টিকেল থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন। এই লক্ষণগুলো দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Table of Contents

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ টি লক্ষণ সম্পর্কে নিচে দেওয়া হল;

১. দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা

একটানা দীর্ঘস্থায়ী কাশি ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণ। ফুসফুসের ক্যান্সার খুবই বিপজ্জনক। এটা মৃত্যুর জন্য দায়ী। বিশেষ করে যারা ধূমপান, অ্যালকোহল, ওয়াইন ইত্যাদি অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন তাদের এই লক্ষণগুলো দেখা যায়।

যদি আপনার কাশি ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে না কমে, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করুন। এই কাশির কারণে আপনার পিঠে অথবা বুকে ব্যথা হতে পারে।

২. অস্বাভাবিক রক্তপাত বা স্রাব হওয়া

শরীর থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে, যোনিপথে রক্তপাত বা স্রাব হওয়া ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হতে পারে। আপনি যদি একজন মেয়ে হন তবে এটি আপনার জন্য স্বাভাবিক।

আপনার যদি ক্রমাগত কাশি হয়ে এবং আপনার কাশির সাথে রক্ত ​​বের হয় তবে এটি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। মহিলাদের স্তনের বোটা থেকে রক্ত-মিশ্রিত তরল বের হয় তাহলে এটি স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও, মলের সাথে রক্ত বের হয় তাহলে এটি ​​মলদ্বার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে রক্তপাতের ঘটনাটি একটু বেশি হয়ে থাকে। বিশেষ করে স্তনের বোটা ও যোনিপথে রক্ত বা রক্ত মিশ্রিত তরল বের হওয়া।

উল্লেখিত এই লক্ষণগুলো দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, এটি মারাত্মক পর্যায়ে চলে যেতে পারে।

৩. খুব ক্লান্ত লাগা

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও যদি আপনি খুব ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আপনি যদি বিছানা থেকে উঠতে না পারেন, হালকা কাজ না করতে পারেন, কোন কাজে মনোযোগ দিতে না পারেন তাহলে ভালো মানের একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে আপনি খুব ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। যদি এমন হয় আপনি সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করেন এবং এটি নিয়মিত হয় তবে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

সবসময় ক্লান্তির কারণে যে ক্যান্সার হয় বিষয়টি এমন নয়, তবে এটি একটি ক্যান্সারের লক্ষণ তাই সতর্ক থাকার চেষ্টা করুন।

৪. হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে ওজন পরিবর্তন হওয়া

আপনার ওজন কমে গেলে বা কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে তা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। বেশির ভাগ সময় ক্যান্সার রোগীদের কোনো কারণ ছাড়াই ৫ কেজি বা তার বেশি ওজন কমে যেতে পারে।

সাধারণত যে সকল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ওজন কমে যায় সেগুলো হলো:

  • ফুসফুসের ক্যান্সার
  • পাকস্থলী ক্যান্সার
  • অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার
  • খাদ্যনালী ক্যান্সার

এই ধরনের ক্যান্সার কোন কারন ছাড়াই হটাৎ করেই শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলে, তাই ওজন কমে গেলে বসে থাকবেন না। এই সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

কিন্তু ওজন কমার পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ; কম খাওয়া, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, ডায়াবেটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম ইত্যাদি।

৫. ত্বকের পরিবর্তন

ত্বকের পরিবর্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আপনার শরীরের ত্বক যদি লাল, কালো, হলুদ ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হয়ে যায় তাহলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া, ঘা সহজে ভালো না হওয়া, আচিল দেখা দেওয়া ক্যান্সারের লক্ষণ।

ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করার সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ক্যান্সার নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৬. জ্বর, ঘেমে যাওয়া ও ঠান্ডা লাগা

দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, রাতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগা এবং অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে জ্বর শুরু হয়। এই কারণে বেশিরভাগ ক্যান্সার রোগী জ্বরে ভোগেন।

বিভিন্ন কারণে জ্বর হতে পারে। কিন্তু, ঘন ঘন জ্বর ক্যান্সারের কারণে হতে পারে। ক্যান্সার জনিত জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঘন ঘন জ্বরের অন্যতম কারণ ব্লাড ক্যান্সার। তবে আরো অনেক ক্যান্সারের কারণ জ্বর হতে পারে।

৭. খাবার গিলতে অসুবিধা

খাবার গ্রহণ বা খাবার গিলতে সমস্যা হলে এটি পাকস্থলী বা গলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এই সময় বদ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে এটি সাধারণ বিষয় মনে করে ঘরে বসে থাকে, এর ফলে ক্যান্সার মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়।

৮. ঘা বা শরীরের ক্ষত সহজে নিরাময় হয় না

ঘা শরীরের যে স্থানেই হোক না কেন সেটি যদি দীর্ঘ সময়ের পরেও ভালো না হয় তাহলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। ত্বকের ঘা বা ক্ষত যদি সহজে ভালো না হয় তাহলে এটি ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ। কখনও কখনও এটি স্তন ক্যান্সারের কারণেও হতে পারে। তাই ডাক্তার দেখান।

৯. মলত্যাগে পরিবর্তন আসা

প্রস্রাব বা মলত্যাগ করার সময় যদি মলত্যাগের পরিবর্তন হয় তাহলে এটি মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। মল অনেক সময় পাতলা, কালো বা আরো বিভিন্ন রঙের হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদিও মলাশয়ের ক্যান্সারের কারণে হতে পারে।

যে পুরুষরা ঘন ঘন প্রস্রাব করেন তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সার হতে পারে। অর্থাৎ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ। শুধুমাত্র প্রস্রাবের সাথে রক্ত ​​যাওয়া, প্রস্রাবের সময় ব্যথা হওয়া এবং নিয়মিত প্রস্রাব না করা প্রস্টেট বা মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং, সঠিক লক্ষণ বা কারণ জানতে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

১০. দীর্ঘদিনের ব্যথা

ঔষুধ খওয়ার পরেও যদি শরীরের কোন স্থানে দীর্ঘদিনের ব্যথায় ভোগেন তাহলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত, ব্যথা ৩ মাসের বেশি স্থায়ী হলে, এটিকে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা বলা হয়। এই ব্যথা পেট বা শরীরের যে কোন স্থানে হতে পারে। এই সময় ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে।

ক্যান্সার রোগ খুবই বিপজ্জনক। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ ধরা পড়লে ভালো হয়। কিন্তু, যদি ক্যান্সার যদি শরীরের সমস্ত অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং টার্মিনাল স্টেজে চলে যায়, তাহলে রোগীর বেঁচে থাকা খুব কঠিন। সুতরাং, উপরে উল্লিখিত ১০ টি লক্ষণ দেখা মাত্রই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুন: ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে?

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ

কোলন ক্যান্সার যা মলাশয়ের ক্যান্সার নামেও পরিচিত। মূলত, প্রস্রাব বা মলত্যাগের সময় মল পরিবর্তন হলে তা কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এই সময় মল কালো বা বিভিন্ন রঙের হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদির কারণেও অনেক সময় কোলন ক্যান্সার হতে পারে।

এই লক্ষণ গুলো ছাড়াও কোলন ক্যান্সারের আরো অনেক গুলো লক্ষণ রয়েছে, যেমন; বমি বমি ভাব হওয়া, মলের সাথে রক্ত যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, কৌষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুদা কমে যাওয়া, মল ত্যাগ করার সময় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হওয়া ইত্যাদি। অনেক সময় মালত্যাগ করার পরেও মনে হবে কিছু মল রয়ে গেছে।

ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ

  • দৃষ্টিশক্তি কমে আসে
  • মাথা সামনের দিকে নুয়ে আসে
  • মুখ-জিহ্বার প্রতিক্রিয়া কমে যাওয়া
  • নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
  • অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
  • মূত্রাশয় এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ হারানো
  • গিলতে অসুবিধা (খেতে না পারা)
  • আওয়াজ পরিবর্তন হওয়া (গর গর আওয়াজ)
  • চোখের পাতা বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়া

ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ

  • ঘন ঘন জ্বর হওয়া এবং জ্বরের সাথে ঠান্ডা লাগা
  • রাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
  • হাড়ে ব্যথা বা কোমলতা
  • ঘন ঘন সংক্রমণ
  • রক্তপাত হওয়া
  • ঘা বা ক্ষত স্থান সহজে না শুকানো
  • অতিরিক্ত ক্লান্তি, ক্ষুধা কমে যাওয়া

আরো পড়ুন: লিভার ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

রেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ

রেক্টাল ক্যান্সার যা মলাশয়ের ক্যান্সার নামেও পরিচিত। নিচে রেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো দেওয়া হলো:

  • হঠাৎ বমি বমি ভাব হওয়া
  • পেট ব্যথা
  • পেট ফাঁপা
  • অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া
  • অতিরিক্ত দুর্বলতা বা ক্লান্তি
  • ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য
  • সরু মল
  • মলের সাথে রক্ত বের হওয়া

আরো পড়ুন: পিরিয়ডের সময় কি কি খাওয়া যাবে না?

FAQ

ফোড়া থেকে কি ক্যান্সার হয়?

ফোড়া থেকে ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে। চিকিৎসার পরও যদি ফোড়া ভালো না হয় বা চলে না যায় তাহলে এটিকে স্বাভাবিক বলা যাবে না। কারণ এর সংক্রমনের মধ্যমে আপনার ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

ক্যান্সার কি ভাল হয়?

প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার নিরাময় করা যায়। কিন্তু, শেষ পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে তা ততদিনে মারাত্মক পর্যাযে চলে যায়, তাই উন্নত চিকিৎসা দিয়েও পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব হয় না। এছাড়া এখন পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসার কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি।

কত বছর বয়সে কোলন ক্যান্সার হতে পারে?

যে কোন বয়সে কোলন ক্যান্সার হতে পারে। তবে, বেশির ভাগই ৫০ বছরের উপর বয়সী ব্যক্তিরা কোলন ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। যদিও, বর্তমানে অল্প বয়সীদের ক্ষেত্রেও এই রোগ দেখা যাচ্ছে।

মলদ্বারে চুলকানি কিসের লক্ষণ?

মলদ্বারে চুলকানি ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস এর লক্ষণ হতে পারে। মলদ্বারের সমস্যা বা সমস্যা ছাড়াও চুলকানি হতে পারে। যেমন; কৃমি, ছত্রাক সংক্রমণ, এলার্জি ইত্যাদি।

ক্যান্সারের ৫টি প্রধান কারণ কি?

ক্যান্সারের ৫টি প্রধান কারণ হলো; ১. অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করা, ২. ধূমপান, ৩. অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা, ৪. সংক্রামক রোগ, ৫. বায়ু দূষণ ও ব্যায়ামের অভাব।

শেষ কথা

এই আর্টিকেল থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ সম্পর্কে তো জানতে পারলেন। তবে একটি বিষয় জেনে রাখুন ক্যান্সার অজানা রোগের কারণেও হতে পারে, যা সহজে বোঝা যায় না। এছাড়াও, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার সহজে সনাক্ত করা যায় না। তাই শরীরে যখন যে রোগ হবে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ক্যান্সার খুবই মারাত্বক রোগ, বেশিরভাগ সময় এই রোগটি মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাই, শরীরের যত্ন নিতে হবে এবং উল্লেখিত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে আশা করা যায় এটি ভালো হয়ে যাবে এবং অনেক সময় সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব হয়।

Leave a Comment

error: Content is protected !!