হাত পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

হাত পা অবশ হওয়ার কারণ অনেক গুলো হতে পারে যেমন; ডায়াবেটিস, মাল্টিপল সেক্লরোসিস, সিস্টেমিক ডিজিজ, টারসাল টানেল সিনড্রোম, নিউরালজিয়া, পেরিফেরাল আরটারি ডিজিজ, কারপাল টানেল সিনড্রোম, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, স্ট্রোক, মাথায় আঘাত, খিঁচুনি, লাইম ডিজিজ, (ক্যাম্পেইলোবেকটার জেজুনি, এপসটেইন-বার ভাইরাস) ইত্যাদি। এছাড়া, সাধারণত একটানা দীর্ঘক্ষণ শরীরের কোন অংশের উপর চাপ পড়ার কারণেও সাময়িক সময়ের জন্য ঐ অংশ অবশ হয়ে যায়।

নিচে এগুলোর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এর আগে বলে রাখি হাত পা অনেক গুলো কারণে অবশ হতে পারে। এখানে শুধুমাত্র কয়েকটি সাধারন এবং স্বাভাবিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি হাত পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি কারণে হাত পা অবশ হয়।

হাত পা অবশ হওয়ার কারণ

হাত পা অবশ হওয়ার কারণ সমূহ নিচে দেওয়া হলো:

একটানা দীর্ঘক্ষণ হাত ও পায়ের উপর ভর দিয়ে রাখার কারণে

স্বাভাবিক ভাবে কখনো কখনো একটাকা দীর্ঘক্ষণ হাতের উপর চাপ পড়ার কারণে হাত অবশ হয়ে যায়। আবার আমরা অনেক সময় পায়ের উপর পা রেখে একটাকা ৫-১০ মিনিট বসে থাককে সেক্ষেত্রে পা অবশ হয়ে যায়। যদিও, এটি সাধারণত ৫-১০ মিনিটের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু, এই সমস্যাটি যদি শরীরের অন্যান্য অংশে বা হাত পায়ে বার বার হতে থাকে তাহলে দ্রুত সতর্ক হতে হবে। কারণ, এর ফলে স্নায়ুতন্ত্রের মায়োলিন সিথ ক্ষতি হতে পারে এবং এটি সাধারণত মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের কারণে হয়ে থাকে। তাই, এমন অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহন করা উচিত।

একটানা টাইপ করার কারণে

আপনি যদি একটানা মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি টাইপিং করে থাকেন তাহলে আপনার হাতে পায়ে ঝি ঝি করতে পারে। বর্তমানে, এই ঘটনা বেশি দেখা যায়। অনেকে একই পজিশনে একটানা বসে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত মোবাইলে টাইপিং করতে পারে। আর এই কারণে হাত পা ঝিম ঝিম করে এবং কব্জির নার্ভ কে প্রভাবিত করে।

নিউরালজিয়ার কারণে

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিউরালজিয়ার কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হাত। এছাড়া, পায়ে তীব্র ব্যথা এবং জ্বালা করতে পারে। এটি শরীরের যে কোনও অংশেই হতে পারে। এই রোগটি বয়সের কারণে অথবা বিশেষ কোন সংক্রমনের কারণেও হতে পারে।

স্ট্রোকের সম্ভাবনা

স্ট্রোক হলে মানুষের হঠাৎ করে ভারসাম্য নষ্ট হয়, দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন হয় এবং হাত, পা ও শরীরের অন্যান্য অংশ অবশ হয়ে যায়। মূলত, হৃৎপিণ্ডে যদি পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হওয়ার কারণে স্ট্রোক হয়ে থাকে। হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের প্রথম লক্ষণ। কোন কারণে রক্তনালী বাধাপ্রাপ্ত হলে এমন হয়ে থাকে।

থাইরয়েড

আপনার যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে ও আপনার হাত পা অবশ হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় আপনি ডাক্তারের সাথে দেখা করতে পারেন। এটি সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। এছাড়া, একবার আপনার রক্ত পরীক্ষা করুন।

গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে

গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক ভাবে গর্ভবতী মহিলাদের হাত পা অবশ হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে অল্প সময়ের জন্য এই সমস্যা হলে চিন্তার কারণ নেই। তবে, খুব বেশি পরিমাণে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায়

অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করার কারণে

আপনি যদি অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনার হাত পায়ে ঝি ঝি করতে পারে। আপনি যখন বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহন করবেন তখন আপনার শরীরের কোষগুলো কাজ শুরু করে দেয়। এর ফলে হাত পা অবশ হয়ে যায়।

ভিটামিন অভাবের কারণে

আপনার শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে সেক্ষেত্রেও আপনার হাত পা অবশ হয়ে যেতে পারে। তাই, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ভিটামিনের ঔষধ গ্রহন করতে পারেন। এছাড়া, ভিটামিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে এই সমস্যা দেখা দেয়, তাই বেশি করে ভিটামিন বি ১২ জাতীয় ঔষধ বা খাবার খেতে হবে।

ডায়াবেটিসের কারণে

ডায়াবেটিস হলো পেরিফেরাল স্নায়ু রোগের একটি সাধারণ কারন। যার ফলে হাত এবং পায়ের পাতা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।

সিস্টেমিক ডিজিজ এর কারণে

সিস্টেমিক ডিজিজ এটি এমন একটি রোগ যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার, ভাসকুলার ডিজিজ, কিডনি রোগ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং দুর্ঘটনায় কোনো স্নায়ুর ওপর চাপ তৈরি করে সেটি সারা শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে শরীরের কিছু অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে।

লাইম ডিজিজ এর কারণে

ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি হয়ে পড়া, খবরজ্বর, পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা এবং লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হলো লাইম ডিজিজ, যা একটি পতঙ্গবাহিত ইনফ্লামেটরি ডিজিজ। এটি অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় সঠিক সময়ের মধ্যে চিকিৎসা না নিলে, এর ফলে স্নায়ুর জটিলতা সৃষ্টি হয়ে হাত পা অবশ হয়ে যেতে পারে।

ফাইব্রোমায়ালজিয়া এর কারণে

ফাইব্রোমায়ালজিয়া হলো হাত পা অবশ হয়ে যাওয়ার সাধারণত একটি কারণ। এছাড়া, ফাইব্রোমায়ালজিয়া এর কারণে স্মৃতির সমস্যা, পেশিতে ব্যথা এবং মেজাজ পরিবর্তনের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

এক নজরে হাত পা ঝিম ঝিম করার কারণ
  • স্বাভাবিকের চাইতে আমাদের হাত পায়ের রক্ত চলাচল কম হলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
  • একটানা দীর্ঘক্ষণ হাত পায়ের উপর চাপ পড়লে হাত পা অবশ হতে দেখা যায়।
  • শোবার বিছানা বেশি নরম হলেও এই সমস্যা হতে পারে।
  • মিনারেল বা ভিটামিন অভাবজনিত কারণে হাত পা অবশ হতে পারে।
  • কিছু কিছু রোগের কারণে এমন হতে পারে। যেমন; ডায়বেটিক নিউরোপ্যাথি, সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, ভেরিকোজ ভেইন, লাম্বার স্পনডাইলোসিস, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, মটর-নিউরন ডিজিজ, কারপাল টানেল সিনড্রোম ইত্যাদি।
  • হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ইত্যাদি কারনে।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে।

হাত পা অবশ হলে করনীয়

আপনার হাত পা অবশ হলে বা হাত পা ঝিম ঝিম করার মতো কোন সমস্যা থাকলে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। হাত পা অবশ হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ন। কারণ; আপনি ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন অনেক গুলো কারণে হাত পা অবশ হয়ে যায়। তাই, সঠিক চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কোন বিকল্প নেই।

এছাড়া, হাত পা অবশ হলে আপনি বিভিন্ন ধরনের থেরাপি নিতে পারেন। যেমন; হিট থেরাপি, ফিজিওথেরাপি, অয়েল ম্যাসাজ থেরাপি, ইত্যাদি। এছাড়া, প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস, হার্ট, স্ট্রোক, কিডনি ইত্যাদি এই ধরনের সাধারণ রোগ গুলো নিয়ন্ত্রন রাখতে হবে। সর্বশেষ, এর জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার

হাত পা অবশ হওয়ার প্রতিকার

  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন সর্বনিম্ন ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ব্যায়াম করতে হবে। এর ফলে শরীরের অনেক জটিলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাত পা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো জটিল সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।
  • বিভিন্ন থেরাপি গ্রহন করুন: আপনি আপনার হাত পায়ের জন্য ফিজিওথেরাপি, হিট থেরাপি ইত্যাদি গ্রহন করতে পারেন। এই সকল থেরাপি শরীরের জন্য ভালো। আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে হিট থেরাপি বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের থেরাপি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে এবং এর ফলে হাত পা অবশ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • অয়েল ম্যাসাজ: শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখার জন্য অয়েল ম্যাসাজ অনেক কার্যকরী। বিভিন্ন স্পা সেন্টারে এই অয়েল ম্যাসাজ সার্ভিস দেওয়া হয়। আপনি চাইলে বিউটি পার্লার ও স্পা সেন্টার গুলো থেকে অয়েল ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। এছাড়া, ঘরেও এটি করা সম্ভব।
  • বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে: শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অবশ্যই ভিটামিন, প্রোটিন, শর্করা ইত্যাদি খাবার গুলো গ্রহন করতে হবে। হাত পা অবশ হলে ভিটামিন বি ১২, দারুচিনি, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার বেছে নিন। এছাড়া, কিছু হলুদের গুড়া দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে হাত পা ঝিম ঝিম করা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে: স্বাভাবিক ভাবে সবার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে হাত পায়ে চাপ পড়লে ১-২ মিনিট বা তারও বেশি সময় হাত পা অবশ হয়ে থাকে। এটি স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু, আপনার ক্ষেত্রে যদি ঘন ঘন হাত পা ঝিম ঝিম করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া, বিভিন্ন রোগের কারণে শরীরের কিছু অংশ অবশ হয়ে যায় তাই সঠিক সময়ের মধ্যে সঠিক চিকিৎসার কোন বিকল্প নেই।

হাত পা অবশ হওয়ার চিকিৎসা

হাত পা অবশ হলে অবশ্যই একজন স্নায়ু বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসা করতে হবে। এই সমস্যার জন্য কিছু পরীক্ষা নির্ধারণ করা হয়। যেমন; এমআরআই, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান এবং ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি। এছাড়া ফিজিওথেরাপি, ম্যাসেজ থেরাপিস্ট দের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। হাত পা ঝিম ঝিম করলে অথবা শরীরের কোন অংশ অবশ হলে আপনি ফিজিওথেরাপিস্ট এর সাথে দেখা করতে পারেন। যাইহোক, আপনার শরীরের কোন রোগের কারণে আপনার হাত পা অবশ হয়ে যায় তার উপর নির্ভর করে আপনাকে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

হাত পা অবশ হওয়ার ঔষধ

হাত পা অবশ হলে বা হাত পা ঝিম ঝিম করলে নিচের ঔষধ গুলো খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

  • Vitabion Tablet
  • Neobion Tablet
  • V3N Tablet

আরো পড়ূনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেট ব্যথা হওয়ার কারণ?

যাদের হাত পা ঝিম ঝিম করে, হাত পায়ের রগ টান টান এবং অবশ লাগে তারা চাইলে Vitabion tablet খেতে পারেন।

ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২ এর অভাবজনিত রোগ সমূহের জন্য Neobion tablet খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

V3N Tablet টি ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২ এই তিনটি উপাদান দিয়ে তৈরি। তাই, হাত পা ঝিন ঝিন করলে এই ট্যাবলেট টি খাওয়া যায়। এছাড়া, রক্ত চলাচল কমে গেলে, হাত পা জ্বালাপোড়া করলে, অবশ অবশ ভাব হলে এই ঔষধ খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঔষধ খাওয়ার আগে জেনে রাখুন


হাত পা অবশ হওয়ার ঔষধ গুলো আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খেতে পারবেন না। ডাক্তার যদি আপনাকে অনুমতি দে তাহলে আপনি এগুলো খেতে পারেন। অন্যথায়, Health Bissoy ওয়েবসাইটের টিম মেম্বার দায়ী থাকবে না।

FAQ

পা ভারী লাগার কারণ কি?

ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে পা ভারী হওয়ার অনুভূতি হতে পারে। ভিটামিন B12 কমপ্লেক্স বা ম্যাগনেসিয়াম এই ভিটামিন গুলো পায়ের ব্যথার জন্য খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ঘুমের মধ্যে হাত পা অবশ হয় কেন?

স্ট্রোকের লক্ষণ, ভুল নিয়মে শোয়া, রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা এবং ভিটামিন বি১২-এর অভাবজনিত কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর হাত পা অবশ হয়ে যায়। মূলত, এই সকল কারণে তখন হাত পায়ের স্নায়ু সঠিক ভাবে কাজ করতে চাই না বলে ঘুম থেকে উঠার পর বা ঘুমের মধ্যে হাত পা অবশ অবশ অনুভূতি হয়। এর জন্য বেশি বেশি ভিটামিন বি১২ জাতীয় খাবার বা ঔষধ খেতে হবে।

হাত পা অবশ হওয়ার প্রধান কারণ কোনটি?

শরীরের রক্ত চলাচল সঠিক ভাবে না হওয়ার কারণে মূলত হাত পা অবশ হয়ে যায়।

হাতে শক্তি না পাওয়ার কারণ কি?

হাতে শক্তি না পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না থাকা। এছাড়া, যারা একটানা দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে মোবাইল, কম্পিউটার চালায় সেক্ষেত্রে তাদের হাতের শক্তি কমে যায়। বিভিন্ন রোগ যেমন; থাইরয়েড, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ইত্যাদি সমস্যার কারণেও হাতের শক্তি কমে যায়। এছাড়া, যাদের শরীরে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ও এই সমস্যা দেখা যায়।

শেষ কথা

আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি হাত পা অবশ হওয়ার কারণ এবং হাত পা অবশ হওয়ার প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মূলত, বয়স এবং বিভিন্ন রোগের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই, এই থেকে সুস্থ থাকতে উপরের উল্লেখিত টিপস এবং নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে হবে।

Leave a Comment

error: Content is protected !!