পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম এই আর্টিকেলে দেওয়া হয়েছে। যাদের পুরুষাঙ্গে চুলকায় তাদের জন্য এই ক্রিম গুলো অনেক কার্যকরী এবং সাহায্য করবে। যদি আপনার পুরুষাঙ্গের চুলকানি হয় তাহলে এই ক্রিম গুলো সম্পর্কে জেনে নিন। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে চুলকানির সমস্যা হতে পারে, সে কারণে চুলকানি দূর করার ক্রিম এর পাশাপাশি ঔষধ বা ক্রিম ছাড়াই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

পুরুষাঙ্গের আশেপাশে চুলকানি বা রানের চিপায় চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ন। বিশেষ করে শীতকালে ছেলেদের এই সমস্যাটা একটু বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। ছেলেদের এই সমস্যাটি হলে শুধুমাত্র সে জানে এটি কতটা কষ্টকর এবং বিরক্তিকর। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বা অনিয়ম জীবনযাপনের কারণে পুরুষাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। যাইহোক, কেন হয় এবং কিভাবে চুলকানি দূর করা যায় সব এখানে রয়েছে।

Table of Contents

এই আর্টিকেলে অনেক গুলো পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও ঔষধের নাম বলা হয়েছে। ক্রিম গুলোর সাথে আপনি পরিচিত হয়ে নিন, কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও ব্যবহার করতে যাবেন না। অন্যথায়, আপনি বিপদে পড়বেন এতে আমরা দায়ী থাকব না।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য চিকিৎসকরা ফানজিডাল এইচ সি ক্রিম, এফান ক্রিম, বেটামেসন অয়েন্টমেন্ট, বেটামেসন এন ক্রিম, ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে। ঔষধ এবং ক্রিম ব্যবহার করার পরেও যদি চুলকানি না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে হবে।

সাধারণত পুরুষাঙ্গের চুলকানি বা ফাঙ্গাসে আক্রান্ত চুলকানি দ্রুত যায় না। যদি আপনার চুলকানি হয় তাহলে আপনি প্রথম অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে পারেন। যদি এরপরেও চুলকানি না কমে তাহলে দ্বিতীয় পর্যায়ে আপনাকে ঔষুধের পাশাপাশি চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যদি তাও না কমে তাহলে আপনাকে সর্বশেষ এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে হবে।

তাহলে চুলকানি মোটামুটি কমে যাবে কিন্তু সম্পূর্ন ভাবে নাও কমতে পারে। চুলকানি না কমা পর্যন্ত প্রতিদিন ২ বার করে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ঔষধ খেতে হবে।

নোট: পুরুষাঙ্গের চুলকানি সহজে ভালো হয় না। এটি ভালো হতে দীর্ঘ সময় লাগে। মূলত ছত্রাক বা ফাঙ্গাস আক্রান্ত হওয়ার ফলে পুরুষাঙ্গের খুব বেশি ইচিং বা চুলকানি হয়। আপনি যত চুলকাবেন তত আপনার ভালো লাগবে। কিন্তু খুব বেশি চুলকানির ফলে পুরুষাঙ্গে ইনফেকশন ও সমস্যা তৈরি হবে। কিছু করার নেই এই সময় আপনাকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে এবং প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ ও ক্রিম ব্যবহার করে যেতে হবে, যতক্ষণ না চুলকানি কমে।

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম | যৌনিতে বা অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার উপায়

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য বর্তমানে ফানজিডাল এইচ সি ও বেটামেসন ক্রিম অনেক কার্যকরী। পুরুষাঙ্গে ক্রিম গুলো ব্যবহার করার কিছুক্ষণ বা কয়েকদিনের মধ্যে চুলকানি অনেকটা কমে যাবে। এই ক্রিম গুলো ছেলে ও মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারবে।

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য আরো বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে। নিচে এই সকল ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: অর্শ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

ফানজিডাল এইচ সি ক্রিম

পুরুষাঙ্গ বা যৌনিপথের চুলকানি দূর করার জন্য ফানজিডাল এইচ সি ক্রিম অনেক কার্যকরী। মূলত চামড়ায় ছত্রাক (Fungal) সংক্রমণ হলে এটি ব্যাবহার করতে হয়। যদি খুব বেশি চুলকায় তাহলে এই ক্রিমটি দিনে দুইবার ব্যাবহার করতে হবে।

  • শিশুদের থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • মুখে দেওয়া যাবে না। মুখ ছাড়া সাড়া শরীরে এটি ব্যবহার করা যাবে।
  • গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এই সময় ব্যবহার না করাটা ভালো।
  • যতক্ষণ ঔষধ দেখা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আঙ্গুল দিয়ে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করতে থাকুন।

এফান ক্রিম

এই ক্রিমটি ব্যবহার করা যৌনাঙ্গের চুলকানি ও রানের চিঁপায় চুলখানি দূর করার জন্য। ফাঙ্গাল সংক্রমণ এর বিরুদ্ধে এটি কাজ করে। এই ক্রিমটি মহিলাদের জন্য অনেক কার্যকরী একটি ক্রিম। এটি মূলত যোনিপথের চুলকানি, জ্বালাপুরা, শুষ্কতা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়।

  • চুলকানি যদি খুব বেশি হয় তাহলে দিনে ২ বার এই ক্রিমটি চুলকানি আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে।
  • চুলকানি আক্রান্ত স্থান সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • এফান ক্রিমের ক্ষতিকারক দিক গুলো হলো: মাথা ব্যাথা, শরীরের ব্যাথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ইত্যাদি।
  • ভারত, আমেরিকা এবং জাপানে এফান ক্রিম অনুমোদন করা হয়।
  • বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • গর্ভাবস্থায় এই ক্রিম ব্যবহার না করা ভালো, প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বেটামেসন অয়েন্টমেন্ট

বেটামেসন অয়েন্টমেন্ট অনেক ভালো একটি ক্রিম। এটি অনেকটা জেলির মতো। এর ফলে এটি শরীরের ব্যবহার করলে চুলকানি ভাব অনেকটা কমে যায়।

  • চুলকানি বেশি হলে এটি দিনে ২ বার করে ব্যবহার করতে হবে।
  • বেটামেসন অয়েন্টমেন্ট চোখের আশেপাশে ইউজ করা যাবে না।
  • অনেকে সুন্দর হওয়ার জন্য এটি মুখে ব্যবহার করে, এরকম হলে মুখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
  • বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • এটি মাথা ও মুখ ছাড়া পুরো শরীরে ব্যবহার করা যাবে।
  • চুলকানি না কমা পর্যন্ত এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

আরো পড়ুন: ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

বেটামেসন এন ক্রিম

বেটামেসন এন ক্রিম এর কাজ হলো এলার্জি বা চুলকানি দূর করা। পুরুষাঙ্গে চুলকানির জন এটি অনেক কার্যকরী। মাথা ও মুখ ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গে এটি ব্যবহার করা যাবে।

  • ১২ বছর নিচে শিশুদের জন্য এটি উপযোগী নয়।
  • অনেকে মনে করে বেটামেসন এন ক্রিম মুখে ব্যবহার করলে ব্রন দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সত্য হলো এটি মুখ নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়া, শরীরের ইনফেকশন হতে পার। তাই মুখে ইউজ করা যাবে না।
  • গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত না।

ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিম

ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণের ফলে শরীরে সংক্রমন সৃষ্টি ও সারা শরীরে চুলকানি হয়, এই সমস্যা দূর করার জন্য ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। যদি গোপনাঙ্গে (পুরুষাঙ্গে / যোনিতে), রানের চিপায় চুলকায় তাহলে ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ক্রিমটি ব্যাবহার করতে হয়।
  • তবে চিকিৎসকরা চুলকানি আক্রান্ত স্থানে দিনে দুই বার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
  • শিশুদের থেকে সবসময় দূরে রাখতে হবে।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিমের দাম

  • ফানজিডাল এইচ সি ক্রিম ১৫ গ্রামের দাম ৫৫ টাকা।
  • এফান ক্রিমের দাম ১০ গ্রাম ৩৫ টাকা।
  • বেটামেসন অয়েন্টমেন্ট ২০ গ্রাম দাম ৪৫ টাকা।
  • বেটামেসন এন ক্রিম ১৫ গ্রাম দাম ৩৫ টাকা।
  • ফাঙ্গিডার্ম‌ ক্রিমের দাম ৪৬ থেকে ৬০ পর্যন্ত হতে পারে।

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ওষুধের নাম

  • ফ্লুগাল ৫০ এমজি ট্যাবলেট: ফাংগাল বা ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য এই ঔষধটি তৈরি করা হয়। যদি কোন পুরুষ বা মহিলাদের গোপনাঙ্গে বা রানের চিপায় চুলকানি এবং শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ হয় তাহলে এটি খাওয়া যেতে পারে। যাদের দাউদ, এলার্জি, চুলকানি মিডিয়াম পর্যায়ে রয়েছে তারা দিনে একটি ৭ দিন এই ট্যাবলেট খেতে পারবে। তবে অনেক সময় আরো বেশি খেতে হতে পারে যা রোগী এবং চিকিৎসকের উপর নির্ভর করবে।
  • লোরাটাডিন: চুলকানি, এলার্জি জনিত সমস্যার কারণে লোরাটাডিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। লোরাটাডিন ট্যাবলেট দিনে একটি বেশি খাওয়া যাবে না।
  • ফ্লুকোনাজল: এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র ছত্রাক সংক্রমনের জন্য। বলা যায় এটি ছত্রাকবিরোধী ওষুধ।

আরো পড়ুন: ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

  • ঘরোয়া উপায়ে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য আপনাকে পুরুষাঙ্গের যত্ন নিতে হবে। যত্ন নেওয়া ছাড়া এর থেকে বাঁচার আর কোন উপায় নেই। কারণ, এই রোগ কমে আবার বৃদ্ধি পায়।
  • আপনি যত চুলকাবেন তত আপনার ভালো লাগবে, তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখুন।
  • অন্যের কাপড় ব্যবহার করা যাবে না।
  • নিয়মিত গোসল করতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
  • চুলকানি আক্রান্ত স্থানে সাবান ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করুন।
  • ভেজা কাপড় পড়া থেকে বিরত থাকুন।
  • প্রসাব করার পর পুরুষাঙ্গ ধুতে হবে এবং সাথে সাথে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পানি মুছে নিতে হবে। এক কথায় পুরুষাঙ্গ ভিজিয়ে রাখা যাবে না।
  • আপনার ব্যবহার করা কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
  • সহবাসের পর পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং অতিরিক্ত সহবাস করা যাবে না।
  • একাধিক নারীর সাথে সহবাস করার ফলে এই সংক্রমন তৈরি হয়, তাই এর থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • পুরুষাঙ্গের চুলকানি হলে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা বন্ধ করুন।
  • এটি এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ। তাই পরিবারের অন্যদের সচেতন করুন। তাদেরকেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে বলুন। না হলে আপনি ভালো হয়ে যাবেন কিন্তু আপনার পরিবারের অন্য ব্যাক্তিদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবশেষে আপনার কাছে আবার আসবে।

FAQ

পুরুষাঙ্গের চুলকানি হয় কেন?

ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে পুরুষাঙ্গের চুলকানি হতে পারে। সংক্রমণের প্রদান কারণ; পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকা, গোসল করার সময় গোপনাঙ্গ পরিষ্কার না করা, অপরিষ্কার প্যান্ট বা আন্ডারওয়্যার পরিধান করা, অতিরিক্ত স্বামী স্ত্রী সহবাস করা, অফিসে বা বাসায় বসে একটানা কাজ করা, ইত্যাদি।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি কতদিন থাকতে পারে?

প্রথম অবস্থায় চুলকানি দূর করার জন্য চিকিৎসা গ্রহন না করা হয় তাহলে এটি ১ থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। এমনকি ৩ থেকে ৪ মাসের ও বেশি সময় লাগতে পারে। যদি চুলকানির সমস্যা পরিবারের অন্য ব্যাক্তিদের ও হয়ে থাকে তাহলে এটি সহজে যাবে না। পরিবারের কারো যদি কমে যায় এবং অন্য জনের এটি এখনো থাকে তাহলে কমে যাওয়া ব্যক্তির কাছে আবার আসতে পারে। তাই সাবধানে জীবনযাপন করতে হবে।

কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?

পুরুষাঙ্গে বার বার চুলকানোর ফলে যদি ঐ স্থানে ব্যাথা করে, দাগ হয়ে যায়, ইনফেকশন হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। চুলকানি শুরু হওয়ার প্রাথমিক অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নিলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। কারণ, এটি পরিবারের অন্য ব্যক্তির কাছে চলে যেতে পারে।

কিভাবে পুরুষাঙ্গের চুলকানি বন্ধ করব?

পুরুষাঙ্গের চুলকানি বন্ধ করার জন্য সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বিশেষ গোপন অঙ্গের যত্ন নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম এবং ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। চুলকানি যদি তাও না কমে তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি হলে নারকেল তেল ব্যবহার করা যাবে?

পুরুষাঙ্গের চুলকানি যদি অ্যালার্জি বা কোন সংক্রমনের কারণে হয়, তাহলে নারকেল তেল ব্যবহার করা যাবে না। এটি বিপদ ডেকে আনতে পারে। যদিও নারকেল থেকে চুলকানি এবং জ্বালা হওয়া থেকে রক্ষা করে। কিন্তু, পুরুষাঙ্গের চুলকানি কেন হচ্ছে আগে এটি জানতে হবে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নারকেল তেল ব্যবহার করবেন না।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি হলে বেকিং সোডা দিয়ে গোসল করা যাবে?

না, চুলকানির জন্য বেকিং সোডা দিয়ে গোসল করার প্রয়োজন নেই। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে হবে।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য রসুন ব্যবহার করতে হবে?

না, পুরুষাঙ্গে রসুন লাগানোর কোন প্রয়োজন নেই। এর জন্য আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ক্রিম ও ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

শেষ কথা

পুরুষাঙ্গে যদি চুলকায় তাহলে প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। অনেকে লজ্জায় এই কথাটি কাউকে বলতে চাই না। যার ফলে অনেক দেরি হয়ে যায় এবং সংক্রমন বা ইনফেকশন আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা সহজে যেতে চাই না। যদি ইনফেকশন হয়ে যায় তাহলে প্রতিদিন আপনার ব্যবহার করা পোশাক কুসুম গরম পানিতে ধোয়ার চেষ্টা করবেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজে নিজে ক্রিম ব্যাবহার করতে গেলে সমস্যা হতে পারে। কারণ এই ক্রিম গুলোর অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যেমন; আপনার ত্বক নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, জ্বালাপোড়া আরো ইত্যাদি অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করবেন, ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!