আঁচিল দূর করার ক্রিমের নাম ও ঘরোয়া উপায়

আঁচিল দূর করার ক্রিম – আঁচিল দেহের সৌন্দর্য নষ্ট করলে ও সাধারণত এটি আমাদের শরীরের জন্য কোন ক্ষতি করে না। তবে, কিছু আঁচিলের কারণে অনেক সময় আমাদের শরীরের বড় জটিল সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরের আঁচিল দূর করা অনেক গুরুত্বপূর্ন। সে কারণে অনেকে আঁচিল দূর করার ক্রিম ব্যবহার করে। আবার অনেকে আঁচিল দূর করার হোমিও ঔষধ ব্যবহার করে থাকে।

আমাদের শরীরে জন্য আঁচিল অনেক বিরক্তিকর। যদি মুখে আঁচিল হয় তাহলে বাহিরে বের হওয়া আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। কারণ মুখের আঁচিল মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। যদি আপনি ও এই সমস্যায় পড়েন তাহলে চিন্তার কারণ নেই, আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে মুখের আঁচিল দূর করার ক্রিমের নাম এবং আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানানো হবে। তাই, আপনাকে এই আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে।

আঁচিল দূর করার ক্রিম

Wart Remover Ointment হল আঁচিল দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ক্রিম। এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে মাত্র ৭ দিনেই আঁচিল দূর হয়ে যাবে। এই ক্রিম সম্পূর্ন ত্বকের গোড়া থেকে আঁচিল দূর করতে সাহায্য করে। যাইহোক, আঁচিল দূর করার জন্য আরও কিছু বিশেষ ক্রিম আছে, সেগুলো হল: Salicid, Keranil, Salidex ইত্যাদি। এই ৪টি ক্রিম ব্যবহার করার ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আঁচিল দূর হয়ে যায়।

আঁচিল দূর করার ক্রিম ব্যবহার করার নিয়ম হলো প্রতিদিন ঘুমানোর আগে শরীরের যে স্থানে আঁচিল হয়েছে সেটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া। এরপর, অল্প ক্রিম নিয়ে আঁচিলের ঐ স্থানে লাগিয়ে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আঁচিল না যাওয়া পর্যন্ত আপনাকে ২৪ ঘণ্টা পর পর ক্রিম লাগাতে হবে। সাধারণত, ৭ দিন ব্যবহার করলে আঁচিল দূর হয়ে যায়। আঁচিল দূর হয়ে গেলে ক্রিম লাগানোর প্রয়োজন নেই। মুখে ক্রিম লাগানো সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন যাতে চোখে না লাগে।

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন প্রকার ক্রিম বা ঔষধ ব্যবহার করা ভালো না। এতে, আমাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিবে। তাই, ক্রিম বা ঔষধ এর ভালো বা খারাপ যাচাই বাছাই না করে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ন। এই আর্টিকেলে যে সকল আঁচিল দূর করার ক্রিম এর নাম বলা হয়েছে সব গুলো কার্যকর। কিন্তু, এরপরেও আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারবেন না। এগুলো আপনার শরীরের খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

আঁচিল কি এবং আঁচিল কেন হয়

আঁচিল এটি সাধারণত এক ধরনের ভাইরাস। একটি গবেষণায় জানা গেছে যে Human Papillomavirus (HPV) নামের ভাইরাসের কারনে মানুষের শরীরে আঁচিল হয়ে থাকে। আমাদের শরীরের সকল স্থানে এটি হতে পারে। তবে, শরীরের কিছু কিছু স্থানে এটি বেশি দেখা যায়। এটি এক ধরনের গোটার মতো যা দেখতে অমসৃণ হয়। আরো সহজ করে বললে, আঁচিল দেখতে অনেকটা ফুলকপির সামনের অংশের মতো হয়ে থাকে। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগের মতো।

ভাইরাসে আক্রান্ত, বারবার ঘর্ষন, জিনগত সমস্যা, হরমোন জনিত সমস্যা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারনে আঁচিল হয়ে থাকে। সাধারণত টয়লেট, সুইমিং ফুল, ইত্যাদির কারণে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে থাকে। শরীরে কোন দাগ বা কাটা থাকলে সাধারণত ঐ স্থান দিয়ে এই ভাইরাসটি প্রবেশ করে থাকে। এরপর, শরীরের বিভিন্ন স্থানে এটি ছড়িয়ে যায়। অনেকে দেখা যায় বাজারে গিয়ে কাঁচা মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদিতে হাত দেয়। কিন্তু, শুনে অবাক হবে এর ফলে ও আঁচিল হয়ে থাকে।

মানুষের শরীরে আঁচিল হওয়ার সবচেয়ে অন্যতম কারণ হলো প্যাপিলোমা ভাইরাস। তবে, হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ও আঁচিল হয়। এছাড়া, পরিবারের কারো পূর্বে থেকে আঁচিল থাকলে তাহলে বংশগত কারণে আঁচিল হতে পারে। আমাদের শরীরে যে সকল স্থানে বেশি বেশি ঘর্ষণ করা হয় যেমন: বগল, ঘাড়, হাত, মুখ ইত্যাদি এই সকল স্থানে সাধারণত সবচেয়ে বেশি আঁচিল হয়। পায়ের তালু থেকে শুরু করে মাথার উপর পর্যন্ত আঁচিল হতে দেখা যায়। সাধারণত আঙ্গুল, হাত, মুখ, পা এবং যৌনাঙ্গ এলাকায় সবচেয়ে বেশি আঁচিল হতে দেখা যায়।

আঁচিল কত প্রকার

আঁচিল সাধারণত অনেক ধরনের হয়ে থাকে। তবে, মানুষের শরীরে সাধারণত ১০ রকমের আঁচিল দেখা যায়। এর মধ্যে বেশির ভাগই আঁচিল নিজে নিজে চলে যায়। আবার কিছু কিছু আঁচিল অধিক হারে বাড়তে থাকে। মানুষের শরীরে যে সকল জায়গায় আঁচিল সবসময় দেখা যায় সেগুলো নিচে বলা হয়েছে।

সাধারন যে আঁচিল গুলো হয়ে থেকে সেগুলো বেশিরভাগই হাত এবং হাতের আঙ্গুলে হয়ে থাকে। ফ্ল্যাট ওয়ার্টস এই ধরনের আঁচিল গুলো সাধারণত হাঁটু, বাহু এবং পায়ে হয়ে থাকে। জেনিটাল ওয়ার্টস এই ধরনের আঁচিল সাধারণত যৌনাঙ্গ কে প্রভাবিত করে। যৌনাঙ্গে আঁচিল দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ন। শরীরে একটি বা দুইটি আঁচিল দেখা দিলে চিন্তার কারণ নেই। এছাড়া, ট্রিটমেন্ট এর ও কোন প্রয়োজন নেই। তবে, একসাথে অনেক গুলো আঁচিল দেখা দিলে দ্রুত ট্রিটমেন্ট করার প্রয়োজন হয়। সাধারণত ৬ মাসের মধ্যে আঁচিল নিজে নিজে অদৃশ্য হয়ে যায়।

মুখের আঁচিল দূর করার ক্রিম

Wart Removal Ointment এই ক্রিমটি মুখের আঁচিল দূর করার জন্য অনেক কার্যকরী একটি ক্রিম। এই ক্রিমটি ১০০% শতাংশ আঁচিল দূর করবে এবং ৭-১০ দিনের মধ্যে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। তবে আঁচিল যাওয়ার পর ঐ স্থানে একটু চুলকানি বা জ্বলতে পারে তাই আপনাকে এই বিষয়ে একটু ধৈর্য দরতে হবে। অনেকে এটি ব্যবহার করেছে এবং তারা বলেছে এর কোনো সাইড ইফেক্ট নেই। মাত্র ২৯০ টাকা দিয়ে মুখের আঁচিল দূর করার ক্রিম টি কিনতে পারবেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আর কোন ঔষধ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে থাকি না।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেট ব্যথা হওয়ার কারণ

আঁচিল দূর করার হোমিও ঔষধ

  • Thuja Occ.1M: আঁচিল যদি মাথায় পিছনের দিকে বা গলার পিছনের দিকে হয় এবং ঝাঁকে ঝাঁকে যদি আঁচিল দেখা যায় তাহলে Thuja Occ.1M হোমিও ঔষধটি আঁচিল দূর করার জন্য খুবই কার্যকর। আঁচিল দেখতে অনেক রকম হয়ে থাকে। যদি ফুলকপির মত দেখতে হয় তাহলে এই হোমিও ঔষধটি ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া, যদি কোন আঁচিলে রক্তস্রাব হয়ে থাকে তাহলে Thuja Occ.1M ব্যবহার করতে হবে। কমপক্ষে ১৫ দিন অন্তর অন্তর সকালে খালি পেটে ৫ ফোটা করে এই ঔষধটি খেতে হবে।
  • Thuja.50M: শক্ত, ফুলকপির মতো, উচুঁ নিচু, মোরগের ঝুটির মতো ইত্যাদি এই ধরনের আঁচিল হলে Thuja.50M এই হোমিও ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
  • Causticum200: আঁচিল গোড়া যদি নরম হয়ে থাকে এবং বাহুতে, চোখের পাতায়, হাতে, বাহুতে ইত্যাদি জায়গায় আঁচিল হলে Causticum200 ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে আঁচিল ছিঁড়ে যাবে বা অদৃশ্য হয়ে যাবে। এই সপ্তাহে দুইবার করে খালি পেটে ৫ ফোটা করে খেতে হবে।
  • Acid NIT 200: আঁচিল ব্যথা হয়ে থাকলে, ঠোঁটের উপর আঁচিল হলে Acid NIT 200 এই সপ্তাহে ২ বার খালি পেটে ৫ ফোটা করে খেতে হবে। যদি সোমবার একবার খেয়ে থাকেন তাহলে বৃহস্পতিবার একবার খেতে হবে।

খুব তাড়াতাড়ি আঁচিল দূর করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই হোমিও ঔষধ খেতে হবে। আপনি যদি ৭-১৫ দিনের মধ্যে খুব দ্রুত সময়ে আঁচিল দূর করতে চান তাহলে উপরের এই হোমিও ঔষধ গুলো খেতে পারেন। এক ঔষধ গুলোর মধ্যে থুজা.১এম এই ঔষধটি সবচেয়ে বেশি আঁচিল দূর করতে সক্ষম।

আরো পড়ুনঃ কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার

আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায়

  • পেঁয়াজের রস: এটি আঁচিল দূর করতে অনেক সাহায্য করে। কারণ, পেঁয়াজ এ থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। এর ফলে দেহের সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। প্রথমে, একটি সুন্দর থেকে পেঁয়াজ নিন। এরপর, সেটি থেকে ব্লেন্ডার করে রস বের করে নিতে হবে। এই রস তুলার সাহায্যে আঁচিল এ ব্যবহার করতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে খুব দ্রুত আঁচিল অদৃশ্য হয়ে যাবে। পেঁয়াজের রসের সাথে এক চামচ লেবুর রস ও ব্যবহার করতে পারেন।
  • কলার খোসা: এটি আঁচিল দূর করার ওষুধ হিসেবে পরিচিত। আপনি চাইলে দুইভাবে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে কলার খোসা নিয়ে আঁচিলের অংশ কিছুক্ষণ ঘষুন অথবা টেপ / কাপড় দিয়ে আঁচিল এর অংশে কলার খোসা আটকে রেখে দিতে পারেন। এছাড়া, আপনি চাইলে খোসার পেস্ট বানিয়ে আঁচিল অংশে লাগাতে পারেন। এরপর, সকালে উঠে মুখ দিয়ে নিবেন। এভাবে, কিছু দিন ব্যবহার করে আঁচিল দূর করুন।
  • অ্যালোভেরা: শরীরের ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা অনেক কার্যকর। আঁচিল দূর করার জন্য প্রথমে অ্যালোভেরা পাতা কেটে নিয়ে জেলি বের করুন। এরপর, আঁচিল এর উপর অ্যালোভেরার জেলি লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন ঘুম থেকে উঠে সেটা ধুয়ে নিন। এভাবে, কিছুদিন করলে আঁচিল ঝরে যাবে।
  • কাঁচা গোল আলু: আলু শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। আপনি যদি কাঁচা গোল আলু ব্যবহার করে আঁচিল দূর করতে চান তাহলে প্রথমে একটি আলু নিন এরপর সেটি গোল গোল করে কাটুন। এরপর, কয়েক ঘন্টা পর পর আঁচিল এ লাগান।
  • রসুন: অ্যালিসিন নামক উপাদান থাকার কারনে আঁচিল এর জন্য রসুন অনেক উপকারী। রসুন থেঁতো করে আঁচিলের উপর লাগলে খুব দ্রুত আঁচিল দূর হয়ে যাবে।
  • অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: অনেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আঁচিল দূর করার জন্য এসিড দিয়ে ট্রিটমেন্ট করে থাকে। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে এসিড ব্যবহার করতে চান তাহলে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করুন। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যাসিড। প্রতিদিন অল্প তুলা নিয়ে ভিনেগারে ভিজিয়ে আঁচিলের উপর সারা রাত রেখে দিলে ৫ – ৭ দিনের মধ্যে আঁচিল পড়ে যাবে।

আঁচিল সাধারণত শরীরে ক্ষতি করে না। তাই, আঁচিল হওয়ার সাথে সাথে ঔষধ বা ক্রিম ব্যবহার না করে আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় মেনে চলা উচিত। একটু দেরি হলেও সামান্য কিছু ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে আপনি আপনার আঁচিল দূর করতে পারবেন। আঁচিল দূর করার ক্রিম এবং ঔষধ ব্যবহারের ফলে আপনার শরীরের নানা রকম সমস্যা দেখা দিলে ও ঘরোয়া উপায় ব্যবহারের ফলে আপনি অনেকটা নিরাপদ থাকবেন। উপরে আঁচিল দূর করার সহজ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

আঁচিল থেকে রক্ষা পেতে আপনি বেশি বেশি করে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। বেশি বেশি করে শাক সবজি খেতে পারেন। সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করবেন। টয়লেট, সুইমিং পুল ইত্যাদি ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে আঁচিল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আরো পড়ুনঃ ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে জেনে নিন?

FAQ

আঁচিল কি বিপজ্জনক?

চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, আঁচিল সাধারণত বিপজ্জনক নয়। এটি শুধু শরীরের জন্য বিরক্তি কর, কিন্তু এতে ব্যথা থাকে না। এটি শরীরের মুখে এবং বিভিন্ন স্থানে হলে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে, যদি দেখেন আঁচিলের চারপাশে রক্তপাত হচ্ছে, ব্যথা হচ্ছে এবং দিন দিন আঁচিল বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে এটি স্বাভাবিক নয়। সেক্ষেত্রে দ্রুত ট্রিটমেন্ট এর প্রয়োজন।

কোন ধরনের আঁচিল বিপদজনক?

পায়খানার রাস্তায় এবং যৌনাঙ্গের আঁচিল গুলো সবচেয়ে বেশি বিপদজনক হয়ে থাকে। এই অঞ্চলের আঁচিল গুলো দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। অধ্যাপক ডা. জিনান মেহরাজ বলেন, এটি নিজে নিজেকেই সংক্রমিত করতে পারে। তাই শরীরের প্রাইভেট অঞ্চলে আঁচিল হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

আঁচিল কীভাবে দূর করা যায়?

হোমিও ঔষধ, ক্রিম, লেজার ট্রিটমেন্ট, সার্জারি এবং ঘরোয়া উপায়ে আঁচিল দূর করা যায়। সাধারণত, নরমাল আঁচিল গুলো ২ সপ্তাহ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নিজে নিজে অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই, কারো একটি বা দুটি আঁচিল হলে সেক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় মেনে চলা উচিত। ক্রিম, সার্জারি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা ভালো।

কি করলে আঁচিল দূর হবে?

আপনি যদি নিয়মিত সর্বোচ্চ ৭ দিন Wart Removal Ointment ব্যবহার করেন তাহলে আঁচিল দূর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি, এক ধরনের ক্রিম যা আঁচিল দূর করতে সাহায্য করে। দ্রুত আঁচিল দূর করার জন্য Thuja.50M এবং Causticum200 এই দুটি হোমিও ঔষধ খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে ৫ ফোটা করে ঔষধ গুলো খেতে হয়। এছাড়া, দু একটি আঁচিল শরীরে দেখা দিলে আঁচিলের উপর কলার খোসা, রসুন, কাঁচা গোল আলু, অ্যালোভেরা, পেঁয়াজের রস ইত্যাদি ব্যবহার করলে দ্রুত আঁচিল দূর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যৌনাঙ্গে আঁচিল হওয়ার কারণ কি?

এইচপিভি সংক্রমণের কারণে মানুষের যৌনাঙ্গ, মলদ্বারের চারপাশে, অন্ডথলিতে আঁচিল হয়ে থাকে। এটি দ্রুত একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মুখ, যোনি এবং পায়ু দ্বারা এক ব্যাক্তির দেহ থেকে অন্য ব্যাক্তির দেহে প্রবেশ করে। বিশেষ করে, যারা একাধিক সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে মিলন করে তারা এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। মায়ের দেহ থেকে খুব সহজে শিশুর দেহে এটি প্রবেশ করতে পারে। যৌনাঙ্গে আঁচিল হলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে, না হলে যোনির ক্যান্সার হয়।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে আঁচিল দূর করার ক্রিম এবং আঁচিল দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি যদি আপনার আঁচিল হয়ে থাকে অথবা আপনার পরিবার, আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কারো আঁচিল থাকে তাহলে আপনি এখন থেকে খুব সহজে আঁচিল দূর করতে পারবেন। শেষ একটা কথা হলো আঁচিল হলে চিন্তার কারণ নেই, এতে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না। তবে, এক সাথে খুব বেশি পরিমাণে আঁচিল হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং আঁচিল দূর করার ঘরোয়া উপায় মেনে চলবেন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!